শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৫৭ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে আরেকটি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার জন্ম নিবে ভাণ্ডারিয়ায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার, মৃত্যু নিয়ে রহস্য, স্বামী পলাতক বিএনপি সবসময়ই ধর্মীয় সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে -মাহমুদ হোসেন পিরোজপুর শিক্ষককে হাতুড়িপেটা, বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার কাউখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষে জনসচেতনতা ও প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত ভান্ডারিয়ায় স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন নেছারাবাদে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লোহার পুল ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মঠবাড়িয়ায় ঘরের মেঝেতে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, স্বামী ও শ্বশুর আটক পিরোজপুর জেলা বিএনপির আংশিক আহবায়ক কমিটি ঘোষণা কাউখালীতে মন্ডপগুলোতে চলছে দুর্গা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি পিরোজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান নেছারাবাদে ২৬ জন শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা পিরোজপুরে পিয়ার পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিরুদ্ধে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিল ভান্ডারিয়ায় ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে নদীতে জাল ফেলছে জেলেরা! মিলছে না কাঙ্খিত ইলিশ পিরোজপুর ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর কমিটি গঠন: সোহাগ সভাপতি, মিঠু সম্পাদক কাউখালীতে অপহরণের তিন মাস পর সপ্তম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উদ্ধার কাউখালীতে জেলের মরদেহ উদ্ধার ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারীকে প্রাণ নাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভাণ্ডারিয়া শাহাবুদ্দিন কামিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণীর প্রথম ক্লাস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা
সারাদেশ থেকে ঢাকায় ঢুকছেন দুই দলের নেতারা

সারাদেশ থেকে ঢাকায় ঢুকছেন দুই দলের নেতারা

পহেলা ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সামনে রেখে প্রায় সারাদেশ থেকেই আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজধানীতে আসছেন। বেশ কয়েকটি জেলা থেকে আসা মূল দল এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতারা ইতিমধ্যেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। স্ব স্ব দলের মেয়র প্রার্থীদের প্রচারণায় নিয়মিত অংশও নিচ্ছেন তারা। দুই সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকেও নিজ নিজ এলাকা থেকে কর্মী-সমর্থকদের ঢাকায় এনে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা কার্যক্রম চালাচ্ছেন।

দল দুটির দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, মূলত ভোটের দিনকে সামনে রেখেই বাইরে থেকে নেতাদের ঢাকায় জড়ো করা হচ্ছে। দুই দলই মেয়র পদে জয় চায়। এজন্য যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার পাশাপাশি কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পাহারা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্র  জানায়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে মেয়র পদে দল দুটির চার প্রার্থীর নিজ গ্রামের এলাকা এবং আত্মীয়তার সূত্র-সংশ্লিষ্ট জেলাসমূহ থেকে বহু নেতা কয়েক দিন আগে থেকেই ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা নিজ দলীয় মেয়র প্রার্থীর পক্ষে নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ, প্রচারণা সমন্বয় এবং পথসভায় নেতা-কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও তারা ভূমিকা রাখছেন। ভোটের দিনে ভোটারদের আকৃষ্ট করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট টানার জন্য করণীয় নির্ধারণেও তারা কাজ করছেন।

বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় নেতাকর্মীদের আসার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েকটি জেলার মূল দল এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের জেলা-উপজেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ উল্লেখযোগ্য পদধারী নেতাদের অনেকেই এখন ঢাকায়। বিশেষ করে, দুই মেয়র প্রার্থীর যেসব আত্মীয়স্বজন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন তাদের জেলা থেকে দলীয় নেতাদেরকে ঢাকায় এনে প্রার্থীর পক্ষে কাজে লাগানো হচ্ছে।

একটি বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা কয়েক দিন আগেই ঢাকায় এসেছেন। তারা ঢাকা দক্ষিণে মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের পক্ষে প্রচারণায় সহযোগিতা করছেন। একইভাবে উল্লেখযোগ্য আরেকটি বিভাগের নেতা-কর্মীরাও ঢাকায় এসে উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের পক্ষে কাজ করছেন।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ভোটের দিন এবং এর আগে-পরে প্রতিপক্ষ যেন নির্বাচনি পরিবেশ নষ্ট এবং ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য কেন্দ্রভিত্তিক পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ভোটের ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পাহারায় থাকবেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

২০১৫ সালে সিটি নির্বাচনে মাঝপথ থেকে সরে গেলেও বিএনপি এবার শেষ পর্যন্ত ভোটের লড়াইয়ে থাকার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। দুই সিটিতেই জয়ও পেতে চায় দলটি। এজন্য বিএনপির নেতৃত্ব এবার নতুন কিছু কৌশল নিয়েছে। সুষ্ঠু ভোট আদায় করে দুই সিটিতেই জয় নিশ্চিতে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাংগঠনিক প্রস্তুতি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের হাইকমান্ড। এই লক্ষ্যে ভোটের দিন ভোর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দেবেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্র পাহারা দিতে ঢাকা মহানগর নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা থেকেও মূল দল এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীদের ঢাকায় জড়ো করা হচ্ছে।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ফেনী ও নোয়াখালীসহ চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে দলের নেতাকর্মীরা কয়েক দিন ধরেই ঢাকায় অবস্থান করে উত্তরে দলীয় মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। একইভাবে মুন্সীগঞ্জ, বিক্রমপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মী ঢাকায় এসে দক্ষিণে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

তাবিথ ও ইশরাকের ঘনিষ্ঠ জনরা জানান, ভোটের শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকা, ভোটারদের ভোট দেওয়া নিশ্চিত করা, কেন্দ্র দখল ও কারচুপি ঠেকানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এজন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই বাইরে থেকেও নেতা-কর্মীদের আনা হচ্ছে। জানা গেছে, কেন্দ্র দখল ও কারচুপি ঠেকাতে বিএনপি কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের নিয়ে গঠন করছে দুই স্তরের কমিটি। পাশাপাশি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের দিন ভোর থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত কেন্দ্রে অবস্থান করবেন এসব কমিটির সদস্য। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিশ্চিতেও নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

ইতিমধ্যে মেয়র পদের জন্য দুই সিটিতে প্রায় ৫০ হাজার পোলিং এজেন্টের তালিকা তৈরি করেছে বিএনপি। জানা গেছে, মেয়রদের পাশাপাশি দল-সমর্থিত সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অনেকেও নিজ গ্রামের এলাকা থেকে নেতাকর্মী-সমর্থক ও আত্মীয়স্বজনকে ঢাকায় নিয়ে আসছেন। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশ নিতে এবং ভোটের দিন কেন্দ্র পাহারা দেওয়ার লক্ষ্যে বাইরে থেকে আসা নেতা-কর্মীদের ভিড় লক্ষ করা যায় ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলগুলোতে। কারো কারো জন্য সংশ্লিষ্ট প্রার্থী ও দলের পক্ষ থেকে অন্যত্র থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন










© All rights reserved © 2025 pirojpursomoy.com
Design By Rana